Surgery & Allied Resources:
- 1.
- 2.Surgery Books & Guides.. (Pin Post)
Surgery Guideline
Surgery Guideline by Dr Jahinul Anam Fayed (K-73): ⭐
From other people:
সার্জারি ও এলাইডঃ
ফিফথ ইয়ারে সার্জারির সিলেবাসটা আসলে বেশ বড়। এখানে-
১. জেনারেল সার্জারি
২. কিছু Allied Subject যেমন, অফথালমোলজি, ইএনটি, নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক, ইত্যাদি পড়তে হয়।
আবার পরিক্ষার জন্য
১. থিওরিটিকাল (ফাইনাল প্রফ রিটেন+ ভাইভা)
২. ক্লিনিকাল (শর্ট কেস – লং কেস),
এই দুইটার জন্য আলাদা ভাবেও প্রিপারেশন নিতে হয়।
General Surgery
আসলে সবার আগে পড়া জরুরী হলো জেনারেল সার্জারি। আলসার-সিস্ট থেকে শুরু করে ব্লাড ট্রান্সফিউশন/ফ্লুইড ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স- কেমোথেরাপি-আইলিওস্টোমি অনেকগুলো টপিক আসলে এখানে আছে। অনেকে এভাবেও মনে রাখে যে গাইডের প্রথম ২০০-২৫০ পেজ এর টপিক গুলো বইয়ে পাওয়া যায় না।
এখানে টপিকগুলো আসলে বেইলি লাভে খুব গোছানোভাবে/ একদমই পাওয়া যায় না। এসব পড়ার জন্য পারফেক্ট রিসোর্স হলো SRB MANUAL OF SURGERY. কেউ চাইলে প্রথমে এখান থেকে টপিক ধরে ধরে পড়ে ফেলতে পারলে এরপর গাইড থেকে প্রশ্ন আর এন্সার এর প্যাটার্ন জেনে নিলে ১০০/১০০ প্রিপারেশন হয়। বলা বাহুল্য যে এই জেনারেল সার্জারির অংশ থেকে ভাইভা এবং রিটেনে সবসময় একাধিক প্রশ্ন থাকে, এবং প্রফের রিটেনে প্রশ্ন খুব একটা রিপিট ও হয় না। তাই এখানে সবই পড়তে হবে। ফাঁকিবাজির কোনো সুযোগ আসলে নেই। আর সত্যি বলতে ইন্টার্নি থেকে শুরু করে কেউ যদি সার্জনও হতে চাও, এখানকার নলেজগুলো আসলে সব সময় কাজে লাগে। প্র্যাকটিকালি যেহেতু এগুলার এপ্লিকেশন খুব বেশি হয়, ভালো ভাবে আসলে পড়তেই হবে। কোনো বিকল্প নেই। ফ্রি রিসোর্স হিসেবে এক্সিস মেডিকেল স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলে কিছু ভিডিও আছে। ক্লাসগুলো ভালো। উপকৃত হতে পারো। আমি নিজে করোনার সময়ে বেশ কিছু ক্লাস দেখেছিলাম। আই ক্যান রিকোমেন্ড দিস একচুয়ালি।
১. Bailey & Love
(Bailey & Love’s সার্জারির মুল টেক্সট বই হিসেবে পড়তে হবে)
২. SRB
এরপর আসে সিস্টেম ধরে ধরে আগানো। সবার আগে আমি বলবো জি আই টি এবং হেপাটোবিলিয়ারি সিস্টেম দিয়ে শুরু করতে। কেননা লং কেসে এই সিস্টেম থেকেই কেস পড়ার সম্ভাবনা ৯৫%। আমাদের হাসপাতালগুলোতে এই সিস্টেমের রোগীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
কিভাবে পড়বো?
প্রথমে বিডি চৌরাশিয়া/ভিশ্রাম সিং থেকে একটু এনাটমি টা রিকল করার জন্য পড়ে নেওয়া ভালো। বেইলি লাভের শুরুতেও এনাটমি নিয়ে কিছু আলাপ থাকে। এগুলো আসলে মাস্ট। অনেকে শুরুর দিকের এই পেজ গুলো না পড়েই একবারে মেইন টপিকে জাম্প করো। এটা ভুল। আসলে শুরু থেকেই পড়া জরুরী। বেইলি লাভ থেকে পুরোটা একবার পড়া হয়ে গেলে এরপর SRB MANUAL OF SURGERY বই থেকে একই টপিক আবার পড়তে হবে। SRB বইটাতে আসলে সব এত সুন্দর করে সাজানো আছে যেটা অনবদ্য। বেইলি লাভ- এস আর বি পড়া হয়ে গেলে যেই টপিক গুলো লং কেস এ আসে, সেটা তখনই লং কেসের জন্য উপযোগী করে পড়ে ফেলা ভালো।
হেপাটোবিলিয়ারি- জি আই টি পড়া শেষ হলে এরপর বাকী সিস্টেমগুলো একই ভাবে প্রথমে শর্ট এনাটমি- এরপর বেইলি লাভ- এরপর এস আর বি, এভাবে পড়ে ফেলবে। লং কেস এর টপিক থাকলে একই সাথে পড়ে নেওয়া ভালো।
আর ওভারঅল ভাইভাত জন্য কার্ড প্রশ্ন- প্রিভিয়াস ইয়ারের ভাইভার প্রশ্ন গুলো কালেক্ট করা গেলে ভালো। এগুলো মাস্ট।
শর্ট কেস এর জন্য:
থিওরি: লেমন, এস দাশ, নরম্যান ব্রাউজ, হ্যামিলটন বেইলি, মাখনলাল।
এখানে এস দাশ পড়তে হবে শর্ট কেস এর এক্সামিনেশনে আমরা কোন কোন পয়েন্ট কেনো দেখি, সেটার সিগনিফিকেন্স বোঝার জন্য। প্রতিটা পয়েন্ট নিয়ে এখানে খুব সুন্দর আলোচনা আছে।
নরম্যান ব্রাউজ পড়লে ক্লিনিকাল সিনারিও/ হিস্ট্রি বুঝতে সুবিধা হবে যেটায় এস দাশের চেয়েও সুন্দর প্রেজেন্টেশন আছে।
হ্যামিলটন বেইলি স্যারদের পছন্দের বই। চাইলে পড়া যায়৷
ক্রস কোশ্চেন: ভট্টাচারিয়া থেকে পড়তে হবে। ভট্টাচারিয়ার বাইরে আসলে কোনো ক্রস কোশ্চেন নাই।
ব্রাঞ্চের সাব্জেক্ট গুলোর ব্যাপারটা একটু অন্যরকম।
অফথ্যালমোলজিঃ
এখানে আগে তোমাকে সিলেবাস জানতে হবে। সিলেবাসের টপিক গুলো চাইলে ধরে ধরে “বসাক স্যারের” বইটা থেকে অথবা কান্সকি থেকে পড়ে নিতে পারো। এরপর রিটেনে কি কি প্রশ্ন আসে প্রশ্ন ব্যাংক থেকে দেখে নিয়ে সেগুলো দেখে নিতে হবে। ভাইভাতে প্রিভিয়াস ইয়ারের প্রশ্ন/কার্ড প্রশ্ন গুলো কালেক্ট করে পড়তে হবে।
আই তে কোনো লং কেস নেই। তবে শর্ট কেস আছে। এক্সামিনেশন প্রসিডিউর টা ভালোভাবে শেখা জরুরী। শর্ট কেস এর জন্য আলাদা কিছু ক্রস কোশ্চেন থাকে। প্রত্যেক মেডিকেলেই কমবেশি নোট পাওয়া যায়া এগুলোর। চাইলে ম্যানেজ করে পড়া যেতে পারে।
a. Essential Opthalmology by Samar K Basak
(দেশীয় প্রচলিত এক্সাম সিস্টেমের সাথে বসাক স্যারের বইটা খুব ম্যাচ করে।)
b. Kanski’s Clinical Opthalmology
(অফথ্যালমোলজি বুঝতে হলে ভিজুয়াল ইম্প্রেশনের বিকল্প নেই। কান্সকির বইটা এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক।)
ইএনটি:
ইএনটি এর ব্যাপারটাও আই এর মতন। কেউ মেইন বই পড়তে চাইলে “ঢিংরা” পড়তে পারো। আর এখানেও রিটেনের জন্য প্রশ্ন ব্যাংক (অন্তত বিগত ৫ বছর) সলভ করলে ৯০%+ কমন পাওয়া যায়। ভাইভাতে CSOM, DNS, POLYP, tonsillitis, GOITRE থেকেই ৭৫%+ প্রশ্ন আসে। বাকী টপিক গুলোও জরুরী। তবে উপরের ৫ টা হলো আসল। এগুলা থেকেই শর্ট কেস দেয়।
a. Disease of Ear, Nose and Throat & Head and Neck surgery by PL Dhingra
(ই এন টি এর জন্য ঢিংরা বইটা কনসেপ্ট বিল্ড আপ এর জন্য ভালো। তবে এক্সাম প্রিপারেশনের জন্য যথেষ্ট না।)
অর্থোপেডিক্স-নিউরোসার্জারি-পেডিসার্জারি:
এখানে ভাইভার জন্য কার্ড প্রশ্ন + প্রিভিয়াস ইয়ারের প্রশ্ন, রিটেনের জন্য প্রিভিয়াস প্রফের প্রশ্ন গুলো জরুরী। যেই কেসগুলো খুব বেশি কমন সেগুলো একটু বই থেকে বা লেকচার থেকে পড়ে নিতে হবে। আমি পারসোনালি এখানে নিজ কলেজের লেকচারকেই ফলো করতাম। এটাই সহজ আসলে। পেডিসার্জারির কিছু টপিক বেইলি লাভ থেকে দেখা যেতে পারে। তবে দিন শেষে লেকচারই বেস্ট।



