Pathology Resources:
Pathology Guideline
প্যাথোলজিঃ
মেডিকেলে ফোর্থ ইয়ারের মতো হেকটিক আর কোনো ইয়ার নেই। তিনটা বড় বড় সাব্জেক্ট, আইটেম সংখ্যাও অনেক, সাথে একেকটা আইটেম এর সাইজও অনেক বড় বড়। কিন্তু প্যাথোলজি না পড়ে ডাক্তার হওয়ার উপায় নাই।
ফিজিওলজিতে আমরা নর্মাল মেকানিজম জেনে এসেছি। প্যাথোলজিতে জানবো এই ফিজিওলজি যদি মেইনটেইন না হয়, তাহলে কি হবে। প্যাথোলজির তিনটা অংশ আছে।
- একঃ জেনারেল প্যাথোলজি,
- দুইঃ সিস্টেমিক প্যাথোলজি ও
- তিনঃ হেমাটোলজি
বর্তমান কারিকুলাম অনুযায়ী থার্ড ইয়ারে জেনারেল প্যাথোলজি আর ফোর্থ ইয়ারে সিস্টেমিক আর হেমাটোলজি পড়ানো হয়।
কোন Robbins পড়বো?
প্যাথোলজির টেক্সটবই হচ্ছে Robbins। কিন্তু Robbins বইটা নিয়ে কনফিউশন হতে পারে কিছুটা। অনেকগুলো বই আছে, যেমনঃ Robbins Basic Pathology, Robbins & Cotran Pathologic Basis of Disease, Robbins Pathology Review ইত্যাদি। আমাদের MBBS দের জন্য লাগে “Robbins & Cotran Pathologic Basis of Disease”। নাম ভালোভাবে দেখে বই নিবে। এখন পর্যন্ত এটার লেটেস্ট ইডিশন হচ্ছে 11th (এখন ২০২৫ সাল)।
জেনারেল প্যাথোলজিঃ (Third Year)
Third year এর শুরুর ৬ মাস ভালোই প্রেসার যায়। চারটা সাব্জেক্ট, সাথে আবার ওয়ার্ড।
তারপরেও বলবো, Robbins পড়ো জিপির জন্য কেন না পোস্ট গ্রেডে, specially residency র এন্ট্রেন্স এক্সামে GP টাই মেইন সিলেবাস। তাছাড়া স্যার ম্যামরা Robbins পছন্দ করেন, আর অনেক Depth থেকে প্রশ্ন করেন। তাই Robbins থেকে পড়লে থার্ড ইয়ারে যে এসেসমেন্ট এক্সাম এটাতেও ভালো করতে পারবা। কিন্তু রবিন্সে অনেক ডিটেইলসে লেখা, শুরুতেই একা একা পড়তে গেলে মনে হবে, Robbins সাহেবের এর মাথা ফাটায় দিয়ে আসি। তাই হুসেইন সাত্তার স্যারের প্যাথোমা, রবিউল স্যারের ইউটিউব চ্যানেল, প্রিতি শার্মা ম্যাম বা ইলা জাইন ম্যামের এনাদের ভিডিও গুলোর লিঙ্ক উপরে আছে। এইগুলোর যেকোনো একজনেরটা আগে দেখে নিয়ে রবিন্স পড়লে সুবিধা হয়।
আর তোমার সময়ের যদি অনেক অভাব থাকে, তাহলে আরিফ থেকে পড়ো। সম্পুর্ণ পড়বে, কোনো কিছু বাদ দিয়ে বা বেঁছে বেঁছে পড়বে না। মেকানিজম গুলো একবার রবিন্স থেকে ক্রস চেক করে নিবে যে ঠিক আছে নাকি বা ইনফরমেশন মিসিং আছে নাকি।
PG র জন্য চাইলে Smiddy MCQ in General Pathology.. বইটা দেখতে পারো।
সিস্টেমিক প্যাথোলজিঃ
এবার আসি সিস্টেমিক। সময় কম, কিন্তু সিলেবাস হিউজ। Robbins থেকেই পড়া উচিৎ। কিন্তু আইটেমের আগেও Robbins পড়ার সময় থাকে না। আরিফ দিয়েই কাজ চালাতে হয়। এখানেও সেইম কাজ করবা, মেকানিজম গুলো এট লিস্ট রবিন্স থেকে ক্রস চেক করবা। আর সময় পেলে রবিন্স তো মাস্ট পড়বাই।
হেমাটোলজিঃ
আইটেমের জন্য আমরা নর্মালি গাইড পড়ি, জেনারেল আর সিস্টেমিক প্যাথোলজি গাইড পড়ে বুঝা গেলেও হেমাটোলজি বোঝা যায় না। এক্সপ্লেনেশন দেয়া নাই, মনে হয় যেন শুধুই মুখস্ত করে যাচ্ছি, তাই এর জন্য মেইন বই লাগবে।
ডি গ্রুচি বইটা হেমাটোলজির জন্য বেস্ট। কিন্তু বইটা পড়তে অনেক সময় লাগে। এখানে ডিজিজ প্যাথোলজির সাথে সাথে ক্লিনিকাল অনেক আলোচনা আসলে করা হয়েছে। হফব্রান্ডটাও দেখতে পারো সময় হলে।
ডি গ্রুচি ছাড়া আরো দুইটা বই এর কথা বলবো, রমাদাস নায়েক আর Kawthalkar। হাইলি রিকমেন্ডেড। মোটামুটি সহজ ভাবে সব কিছু গোছানো আছে, সব কিছুর সুন্দর এক্সপ্লেনেশান দেয়া আছে। আমি Anemia টপিকটা Kawthalkar থেকে পড়েছিলাম।



