Guess The Case
Community Medicine
CommedGuideline

Community Medicine

Oct 15, 2024
4 min read
0 views

Community Medicine Resources

Community Medicine

ইতিহাসের একটি গল্প ও কমিউনিটি মেডিসিনঃ

সাল ১৮৫৪, লন্ডন শহর, ভয়াবহ কলেরা মহামারী। শুধু লন্ডনেরই ছোট্ট একটা এলাকা জুড়ে মাত্র দশদিনের ব্যবধানে মারা গেছে ৫০০ লোক। রিতীমত ভয়াবহ অবস্থা। কেউ পথ দিয়ে গান গাইতে গাইতে যাচ্ছে, হঠাৎ তার পেট ব্যাথা হলো আর বমি হলো, তো ধরেই নেয়া হতো তার মৃত্যু একরকম সুনিশ্চিত।

এই সময় আবার লন্ডনের বাতাস ছিল দুর্গন্ধময়, ফলে তখনকার চিকিৎসকসহ সবাই মনে করতো বিষাক্ত বাতাসের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়, এই বাতাসকে তারা বলতো মিয়াজমা (miasma)।

তরুণ এক চিকিৎসক, কলেরার ভয়ে থেমে তো আর থাকতে পারেন না, মহামারীর সময়ে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রোগীদের। তিনি লক্ষ করলেন যে, বেশিরভাগ রোগীর উপসর্গ শুরু হচ্ছে পেটে ব্যাথা দিয়ে। তার মনে প্রশ্ন জাগলো, রোগটি যদি বাতাসের মাধ্যমেই ছড়াতো তাহলে নাক, গলা বা ফুসফুসে না হয়ে পেটে হচ্ছে কেনো?

হিসাবের এই গড়মিল তাকে ভাবতে বাধ্য করলো যে, সমস্যাটা বোধয় বাতাসে নয়, বরং পানিতে বা খাবারে। অন্যদের কাছে এই কথা বললেন তিনি, কিন্তু পেলেন এক রাশ হতাশা, তারা বললো, U know nothing, my boy!

হার মানলেন না তিনি। আটঘাট বেধে নামলেন এবার যে কলেরার গুষ্টি উদ্ধার করেই ছাড়বেন তিনি। গবেষণা করতে গিয়ে দেখলেন, বেশিরভাগ রোগীই একটা নির্দিষ্ট এলাকার আর সকলেই ঐ এলাকার একটা পানির কল থেকে পানি নিয়ে খাওয়া, রান্না, ধুয়াধুয়ি করেন।

আরো একটা অদ্ভুত আর মজার তথ্য সামনে আসলো, ঐ কলের কাছে এক মদের দোকান আছে, কিন্তু ঐ দোকানের কেউ আবার কলেরায় আক্রান্ত হয় নি। তদন্ত করে জানা গেলো, তৃষ্ণা পেলে দোকানের কর্মীরা পানি পান না করে মদ পান করেন।

এসব প্রমাণ দেখিয়ে তরুন ঐ চিকিৎসক প্রশাসনকে অনেক কষ্টে রাজী করালেন এবং ঐ কলের হাতলটি ভেঙে দিলেন যেন আর কেউ ওটা থেকে পানি নিতে না পারে। এরপর কি হলো?!

আশ্চর্যজনকভাবে কলেরার সংক্রমণও কমে গেলো।

পরবর্তী তদন্তে জানা গেল, ঐ কলের পানির উৎস ছিল পাশের একটি বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের পাশে, যেখান থেকে পানিতে দূষণ ঘটছিল।

সাহসী, যুক্তিবাদী এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার জন্য সেই তরুণ চিকিৎসকের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে – তিনি হলেন ড. জন স্নো (Dr. John Snow)।

তখনও লুই পাস্তুর তার germ theory of disease প্রকাশ করেননি (যা হয়েছিল ১৮৬১ সালে)। জন স্নো জানতেন না রোগ ছড়ায় জীবাণুর মাধ্যমে, তবে তিনি মিয়াজমা তত্ত্বে বিশ্বাস করেননি, কারণ তার পর্যবেক্ষণ বারবার সেটা ভুল প্রমাণ করেছিল।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে রেখে গেছেন এক চিরস্থায়ী অবদান। এজন্যই তাকে বলা হয় রোগতত্ত্ববিদ্যা বা এপিডেমিওলজির জনক (Father of Epidemiology)।

এই এপিডেমিওলজি আসলে কমিউনিটি মেডিসিন বা প্রিভেন্টিভ মেডিসিন-এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে আমরা কোনো একটি স্বাস্থ্য সমস্যা খুঁজে বের করে ছোট ছোট প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে বৃহৎ পজিটিভ পরিবর্তন আনতে পারি আমাদের সমাজে, আমাদের কমিউনিটিতে।

ImageThe pump that’s missing a handle was reinstalled on Soho’s Broadwick Street, london on 20 July 2018.

কিভাবে পড়বো কমিউনিটি মেডিসিনঃ

কমিউনিটি মেডিসিন নাম শুনলেই মাথায় আসে বিশাল বিশাল definition, মনে হয় যেন বোঝার কিছু নাই, সব ঠাটা মুখস্ত। আসলেও তাই। অনেক কিছু বেহুদা মুখস্ত করা লাগে। কিছু করার নাই। তবে বিশাল বিশাল definition গুলোকে ভালোভাবে পড়ে অর্থ বুঝে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিলে সহজ লাগে মুখস্ত করতে। এখন আসি কি বই পড়বো এই ব্যাপারে। এরজন্য গোল্ড স্টান্ডার্ড বই শুধু মাত্র একটাই, তা হচ্ছে পার্ক। আর কোনো টেক্সটবই নাই এই সাব্জেক্টের। গাইড “কনসেপ্ট” টা ভালো বলা যায়। গাইড + স্লাইড পড়লেই ইনাফ। আরো সিম্পলি বললে, শুধু গাইডই ইনাফ পাশ করার জন্য। স্যার ম্যাম পার্ক ধরে ধরে না পড়ালে, এটা ধরে না কেউ অতি উৎসাহী বাদে। সময় আর ইচ্ছা থাকলে পার্কও পড়তে পারো।

এখন আসি কোনো ভিডিও দেখলে কি ইজিয়ার হবে এটা পড়া?
সব কিছুর জন্য তো লাগেনা ভিডিও, নিজে পড়লেই বোঝা যায়। শুধু রিসার্চ মেথোডোলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স আর এপিডেমিওলজির কিছু অংশের উপর মোজাম্মেল স্যারের ক্লাস আছে। এইগুলা ভালো অনেক। কন্সেপ্ট বুঝতে সাহায্য করে। আর এই টপিকগুলো কন্সেপ্টরই ব্যাপার। স্যার অনেক সুন্দর করে উদাহরণ টেনে টেনে প্রত্যেকটা টপিক বুঝিয়েছেন সহজ আর সাবলীল ভাষায়। উপরের রিসোর্সে লিঙ্ক পেয়ে যাবা।

If you have any copyright claim, contact the admin via telegram: @talktoadmin10bot

HomeClassAI BookPostsQB Archive